ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি, বাঁচার জন্য গহনা বিক্রি করছে লাখো মানুষ - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Monday 12 July 2021

ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি, বাঁচার জন্য গহনা বিক্রি করছে লাখো মানুষ








করোনা মহামারি দারিদ্রের মুখে ঠেলে দিয়েছে লাখ লাখ দেশবাসীকে । জীবিকা নির্বাহের তাগিদে এখন তারা নিজেদের শেষ সম্বল সোনার গহনা বিক্রি করে দিচ্ছেন। বিশেষ করে দেশের গ্রামীণ এলাকায় এই দুর্দশা সবচেয়ে প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। তাদের আয়ের পথ রুদ্ধ এবং ক্রয়ক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে গেছে। অনেকে ব্যাংক কম থাকার কারণে তারা খুবই কম দামে সোনার দোকানে কিংবা সুদখোরদের কাছে নিজের গহনা বিক্রি করে নগদ টাকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন। 



লন্ডনভিত্তিক মেটালস ফোকাস লিমিটেড-এর কন্সালট্যান্ট চিরাগ শেঠ বলেন, করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে কারণে আর্থিক সঙ্কটের আশঙ্কা অনেক বেশি। গ্রাহকরা তাদের সোনার গহনা বন্ধক দিয়ে ও বিক্রি করে নগদ টাকা সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সংগৃহীত পুরনো সোনার পরিমাণ ২১৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। এসব সোনাকে গলিয়ে নতুন রূপে পরিবেশন করা হবে।


শেঠ বলেন, গত বছর মহামারিতে আপনি আর্থিক সঙ্কটে পড়ে সোনা বন্ধক দিয়ে সাংসারিক খরচ সামলেছেন। মহামারি কেটে গেলে চলতি বছর আপনি সেগুলো পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে পারতেন। কিন্তু চলতি বছর তা আরও জেঁকে বসেছে। আপনাকে সম্ভাব্য তৃতীয় তরঙ্গের আশঙ্কায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। লকডাউনে আপনার চাকরি চলে যেতে পারে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে যখন প্রকৃত অর্থেই করোনার তৃতীয় ঢেউ চেপে বসবে, তখন লোকজন আরও সোনা বিক্রি করতে বাধ্য হবে।


অনেক ভারতীয়, যারা দারিদ্র্যসীমা থেকে ওপরে ছিলেন, তারা লকডাউনের কবলে পড়া পঙ্গু অর্থনীতির কারণে ফের চরম দারিদ্র্যের মুখে পড়তে যাচ্ছেন। ২০ কোটি মানুষের দৈনিক আয় ৫ ডলারের নিচে নেমে গেছে।


পল ফার্নান্দেজ নামের একজন ৫০ বছর বয়সী ওয়েটার বলেন, গত বছর লকডাউনে চাকরি চলে যাওয়ার পর ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ মেটানোর জন্যে সোনা বন্ধক দিয়ে নগদ টাকা নিয়েছিলাম। কিন্তু চলতি বছর আরেকটি চাকরি পাওযার চেষ্টায় এবং হোম বিজনেসের সন্ধানে সোনাগুলো বিক্রি করে দিয়েছি। কারণ সোনাগুলো ফের ছাড়িয়ে আনার ক্ষমতা আমার নেই এবং এগুলোর সুদও পরিশোধ করতে পারছিলাম না।


পল ফার্নান্দেজের মতো এরকম হাজার হাজার লোক রয়েছেন, প্রথম বছর সোনাদানা বন্ধক দিয়ে মহামারি সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় বছরে এসে  করোনার আরও তীব্রতায় তাদের আয়ের পথ একেবারেই রুদ্ধ হয়ে গেছে এবং তারা বন্ধক দেওয়া সোনার গহনা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরিবর্তে একেবারেই বিক্রি করে দিচ্ছেন, যা স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে অনেক কম।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad