হিন্দি চলচ্চিত্র যখন নির্বাক, সাদা কালো, তখনই বোম্বেতে অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে চলে আসেন পৃথ্বীরাজ কাপুর। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের অন্যকম কর্ণধার ছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রে তাঁর হাতে খড়ি ‘দো ধারি তলোয়ার’ ছবির মাধ্যমে। যদিও এই সিনেমায় তিনি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। অভিনেতা হিসেবে পর্দায় প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তাঁর তৃতীয় ছবিতে, নাম ‘সিনেমা গার্ল’ (১৯২৯)।
কাপুর পরিবারের চলচ্চিত্র জগতের একচেটিয়া আধিপত্যের সূত্রপাতটা ঘটিয়ে ছিলেন তিনিই। মোটের ওপর নয়টি নির্বাক ছবিতে অভিনয় করার পর ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে ছিলেন অভিনেতা। ভারতেবর্ষের প্রথম সবাক ছবি ‘আলম আরা’-তে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তারপরই শুরু হয়েছিল বলিউডের কালজয়ী অধ্যায়। এরপর একের পর এক উপহার দিয়ে গেছেন ‘বিদ্যাপতি’, ‘মুঘল-ই-আজম’, ‘সিকান্দার-ই-আজম’, ‘দ্রৌপদি’, ‘আওয়ারা’-র মতো জনপ্রিয় সব সিনেমা। এছাড়াও তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
কাপুর ৩ নভেম্বর ১৯০৬ সালে ব্রিটিশ ভারতে পাঞ্জাব প্রদেশের সামুন্দ্রিতে একটি পাঞ্জাবি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অভিনয়ের মূলই হল থিয়েটার, তিনি এই মন্ত্রেই ব্রত ছিলেন। ১৯৪৬ সালে তৈরি করেছিলেন পৃথ্বী থিয়েটার। যার ৫০তম বর্ষপূর্তীর উপলক্ষ্যে ভারত সরকার ১৯৯৬ সালে স্যাম্পও তৈরি করেছিলেন থিয়েটর সংস্থার নামে। এই থিয়েটারের জনপ্রিয়তা ছিল দেশ জুড়ে। থিয়েটর শুরুর কিছু বছরের মধ্যেই তাঁর বড় সন্তান রাজ কাপুর চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করে। এরপর থেকেই বলিউডে চিত্রটা যায় পাল্টে।
No comments:
Post a Comment