শিলিগুড়িতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়ে ফের মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। তবে মৃতের শরীরের উপস্থিত ছত্রাক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস না ভিন প্রজাতির এসপারজিলাস তা নিয়ে ধন্দে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে শিলিগুড়ির দেবীডাঙার বাসিন্দা ওই মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি প্রতিস্থাপনের জেরে জটিল রোগে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন যাবৎ। তার ওপর সম্প্রতি করোনা এবং ছত্রাক সংক্রমনের শিকার হয়ে গত ২০শে মে শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
সেখানে কোভিড নিউমোনিয়ায় ফুসফুসে গুরুতর সমস্যার কারনে শ্বাসকষ্টের হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। পরে সেখানে কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও ছত্রাক সংক্রমনের সন্দেহের কথা জানিয়ে রুগীকে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য রুগী পরিবারকে চাপ দিতে লাগে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রুগীকে স্থানান্তরিত করে ইএনটি বিভাগে ভেন্টিলেশনে রাখা হলেও কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় রুগীর।
ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রাধে শ্যাম মাহাতো জানান ভর্তির কয়েক ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হয় রুগীর। আমরা ছত্রাক সংক্রমন সন্দেহ করছি। তবে তা মিউকর মাইকোসিসের সঙ্গে এই ছত্রাক সংক্রমনের কিছু বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য চোখে পড়েছে। মৃতের শরীরের মেলা সংক্রমন ভিন্ন প্রজাতির এস্পারজিলাস ছত্রাকের উপস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করছে। মেডিকেল চিকিৎসক মহলের মধ্যে মৃতের শরীরে থাকা ছত্রাক মিউকর মাইকোসিস না এসপারজিলাস প্রজাতির তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
যদিও উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার তথা মাইক্রোবায়োলজিস্ট ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক জানান যে রুগীর মৃত্যু হয়েছে তার উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো একাধিক শারীরিক জটিলতা ছিল। ভেন্টিলেশন সাপোর্টে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিকেলে আনা হয় রুগীকে, খুব কম সময়ের মধ্যে তার মৃত্যু হয় যার জেরে সংক্রামিত ছত্রাকের কালচার পরীক্ষার করার মতো সময় মেলেনি। তবে তার শরীরের ছত্রাক সংক্রমন ও তার বিস্তার পর্যবেক্ষণে করে বোঝা যাচ্ছে এটা মিউকর মাইকোসিস।
No comments:
Post a Comment