মোটা টাকার বিনিময়ে স্কুল ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠলো প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মানিকচক থানার সাহেবরামটোলা প্রাথমিক স্কুলের। করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর থেকে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ৯ মাস ধরে এলাকারই এক পরিবারকে মোটা টাকার বিনিময়ে স্কুলবাড়ি ভাড়া দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। সেখানে রাখা হয়েছে গবাদি পশুদেরও।
বিষয়টি জানাজানি হতেই শনিবার সকাল থেকেই ওই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। এদিন স্থানীয় গ্রামবাসীরা স্কুল চত্বরে এসে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। এনিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ভাড়া থাকা ওই ব্যক্তির বচসাও হয়। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কনক সাহা। তিনি বলেন, আমি কাউকে স্কুলে থাকতে দিই নি। যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে সঠিক নয়। ওই পরিবারটি বাড়ি সংস্কার করার জন্য স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।
বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের অভিযোগ, লালমোহন মণ্ডল তার বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরি করছেন ।সেই জন্য স্কুলের একটি হলঘর ভাড়া নিয়ে প্রায় দশ মাস পরিবারসহ স্কুলেই বসবাস করছেন।শুধু তাই নয় অভিযুক্ত লালমোহন মন্ডল পুরো স্কুল চত্বর নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহার করেন । বাড়ি তৈরীর সমস্ত সরঞ্জাম ইট বালি সিমেন্ট এমনকি গবাদি পশু গরু ছাগল নিয়ে বসবাস করছেন স্কুলে। স্কুল চত্বরে ইট , বালি সহ বাড়িত নি নানা নির্মাণ সামগ্রী পড়ে রয়েছে।
স্কুলের বারান্দায় গরুর খাবার , খড় গাদা করে রাখা হয়েছে । স্কুলের রক্ষণাবেক্ষণও ঠিকমতো করে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের ।এনিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসাও বাধে লালমোহনবাবুর পরিবারের সাথে। লালমোহনবাবুর স্ত্রী রিঙ্কু মন্ডলের দাবি, তিনি নির্দিষ্ট অনুমতি নিয়ে স্কুলঘর ব্যবহার করেছেন । তিনি স্বীকার করে নেন প্রধান শিক্ষকের কাছে নির্দিষ্ট অনুমতি নিয়ে ভাড়া দিয়ে থাকছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মালদার জেলাশাসক।
No comments:
Post a Comment