প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্ত্রী। তার দিয়ে শ্বাস রুদ্ধ করে মেয়ের সামনেই খুন করে বাবাকে। তারপর তারা দেহকে তিন টুকরো করে প্রথমে বাথরুমে কিছুক্ষণের জন্য রেখে তারপর রান্নাঘরের মাটির তলায় পুঁতে দেয়।
জানা গিয়েছে ওই মহিলার একটি ছয় বছরের মেয়ে রয়েছে তার চোখের সামনে এই পুরো ঘটনা ঘটে। পুলিশ এসে জেরা করতেই সে মায়ের কীর্তির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়ে সমস্ত বলে দেয়। জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম রইস শেখ। বছর দুয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা থেকে কাজের খোঁজে তারা মুম্বই আসে তাদের মেয়ে ও দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে। পুলিশ ইতিমধ্যেই খুনের দায়ে গ্রেফতার করেছে শাহিদা শেখ ও তার প্রেমিক অমিত মিশ্রকে। আসলে ঘটনাটি ঘটেছিল ১২ দিন আগে।
বুধবার মুম্বই পুলিশ মৃত রইস শেখের দেহ উদ্ধার করে। পুলিশকে বারো ঘণ্টা ধরে তাঁদের রান্নাঘরের তলায় খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয়। তারপর মেলে দেহ। প্রায় তিন ফুট তলায় পুঁতে রাখা হয়েছিল রইসের দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ মে শাহিদা দাসিহার থানায় গিয়ে জানায় যে তাঁর স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই অনুযায়ী থানায় ডায়েরি করা হয়। তিনি পুলিশকে জানান ২১ মে থেকেই তাঁর স্বামী নিখোঁজ। সেদিন তিনি বাইরে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি।
সেই থেকেই তাঁর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগও করতে পারেননি তিনি। ওই ২৫ তারিখেই রইসের ভাই অনিস মুম্বই পৌছায় এবং থানায় গিয়ে জানায় তার বৌদি একেক বার একেক রকম কথা বলছে। তার একটা কথার সঙ্গে অন্য কথার মিল পাওয়া যাচ্ছে না। তার মনে হয় শাহিদা কিছু লুকোনোর চেষ্টা করছেন। তারপর পয়লা জুন রইসের বাড়িতেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। তারা দেখে রান্নাঘরের মাটি উঁচু নিচু হয়ে রয়েছে। একটি কোণের কিছু টালিও নেই। এরপরেই কড়া জেরার মুখে শাহিদা স্বীকার করে নেয় যে সে ও তার প্রেমিকা মিলে রইসকে খুন করেছে। ছয় বছরের মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে ঘটনা আরও পরিস্কার হয় পুলিশের।
মেয়েটি এও জানায় তার মা তাকে ধমক দিয়ে রেখেছিল যে যদি কাউকে সে এই কথা বলে তাহলে তাকেও পুঁতে দেবে। পুলিশ জানতে পড়েছে শাহিদা তার প্রতিবেশী অমিতের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। স্বামী এই সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিল। এই সম্পর্ক বন্ধ করার কথা বলেছিল। শুরু হয় ঝগড়া অশান্তি। শেষ পর্যন্ত ২২ মে রইসকে খুন করবে বলে ঠিক করে অমিত ও শাহিদা।
No comments:
Post a Comment