স্থলভাগে ঢোকার পালা এবার মৌসুমী বায়ুর। যার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। সাধারণভাবে কেরলে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করে ১ জুন। এবার পূর্ব উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে দেশের স্থলভাগে মৌসুমীবায়ুর প্রবেশ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বুধবার সকাল পর্যন্ত অবস্থান করেছে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ পশ্চিম এবং পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপরে। তা আরও শক্তি সঞ্চয় করে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেরল উপকূলে শক্তিশালী হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমী বায়ু।
ভারতের কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে মৌসুমী বায়ুর স্থলভাগে আসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এব্যাপারে বৃষ্টিপাত, ঘনত্ব এবং মেঘলা আবহাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেরলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কেরলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে। দক্ষিণ আরব সাগরে ঝোড়ো হাওয়াও রয়েছে। উপগ্রহ চিত্র থেকে পরিষ্কার, কেরল উপকূল এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আরবসাগরে মেঘের আনাগোনা বেড়েছে।
বুধবার জানানো হয়েছিল, আগামী ২৪ ঘন্টায় মৌসুমী বায়ু স্থলভাগে প্রবেশের আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে। জেলায়-জেলায় বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস একনজরে জেলায়-জেলায় বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস একনজরে
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এবার সারা দেশে ১০১ শতাংশের মতো বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর আগের দুবছরেও সাধারণ গড়ের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ হতে পারে ১২ জুন নাগাদ। তবে এব্যাপারে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তার আগেই উত্তরবঙ্গে প্রাকবর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে। ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছেন, বুধবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে।
No comments:
Post a Comment