জাল কোভিড রিপোর্ট তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ১।। গ্রেপ্তার বিশাল দত্ত (২১) নামে যুবক। বিগত কয়েক মাস ধরে শহরের মাটিগাড়ার একটি বেসরকারী ল্যাবের নাম করে ভুয়ো কোভিড রিপোর্ট তৈরির এই জাল বিস্তার করে এই যুবক। এই চক্রে তার সঙ্গে জড়িত রয়েছে আরও এক-দুজন। মূল অভিযুক্তর কাছ থেকে ১০টি জাল কোভিড রিপোর্ট সহ একাধিক সোয়াব সংগ্রহের বোতল উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে বেশ কিছুদিন মাটিগাড়ার একটি বেসরকারি ল্যাবে কাজ করতো ওই যুবক।
কর্মসূত্রে পরিচিতি বাড়িয়ে গ্রাহকদের নিজের ব্যক্তিগত নম্বরে যোগাযোগ করতে বলতো সে। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম তার ভুয়ো রিপোর্ট তৈরির বিষয়টি নজরে আসে ওই বেসরকারি ল্যাব কর্তৃপক্ষের। তাকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করলেও পুলিশকে বিষয়টি সে সময় জানাননি তারা। এরপর থেকে গ্রাহকদের টেলিফোন এলেই সে সোয়াব সংগ্রহে পৌঁছে যেত। কিন্তু সংগ্রহীত সোয়াব কোনো ল্যাবেই পৌঁছতো না। ক্যাফে বা মোবাইলেই নিজ ইচ্ছেমতো কোভিড রিপোর্ট তৈরী করে ওই বেসরকারি ল্যাবের নাম ব্যবহার করে জাল রিপোর্ট তুলে দেওয়া হতো গ্রাহকদের।তদন্তে নেমে তার সঙ্গে কাজে যুক্ত আরও দুজনের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। বুধবার ডিসিপি ইস্ট জয় টুডু জানান মঙ্গলবার রাতে এক রুগীর পরিবারের প্রাথমিক সন্দেহের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেই মাটিগাড়ার বাসিন্দা ওই যুবক অবধি পৌছায় পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশ।
দেখা যায় যে ল্যাবের নাম করে সে সোয়াব সংগ্রহ করতো তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই যুবকের একইসঙ্গে অন্য একটি ল্যাবের কথা বললেও সেখানেও কোনো সোয়াব পাঠাতো না সে। সোয়াব সংগ্রহ করা হলেও কোনো ল্যাবে না পৌঁছে তা খালি করে দেওয়া হতো। এরপরই ক্যাফেতে বসে বা মোবাইলে রিপোর্ট তৈরি করে ফেলতো। এতে পুরো টাকাটাই যেত তার পকেটে। পুলিশ জানায় ওই যুবকের কাছ থেকে ১০টি জাল কোভিড রিপোর্ট মিলেছে সেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচাই করছে পুলিশ। এই কয়েক মাসে কত জাল রিপোর্ট সে তৈরি করেছিল তার মোবাইল ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে পুলিশের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে সাইবার সেল ও ডিডি। পুলিশের তরফে দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও জানানো হয়েছে। কয়েক মাসে কতগুলো ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি হয়েছে তা স্বাস্থ্য দপ্তরে যাচাই করা হবে। বেসরকারি ল্যাব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পূর্বে থেকে জেনে বরখাস্ত করলেও কেন পুলিশের কাছে গোপন রেখেছেন পুরো বিষয়টি তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই পুরো চক্রের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ডিসিপি ইস্ট জয় টুডু। ধৃতের বিরুদ্ধে ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০আইপিস ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে এদিন শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে দশদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
No comments:
Post a Comment