বারুইপুরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তনুশ্রী চৌধুরী কলকাতার নীলরতন হাসপাতালের নার্স। বৃহস্পতিবার সকাল ৯-১০ শিয়ালদহগামী স্টাফ স্পেশাল ট্রেন ধরার জন্য বারুইপুর স্টেশনে আসেন তিনি। তনুশ্রী দেবীর অভিযোগ, ট্রেনের তাঁদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় অত্যাধিক ভিড় থাকায় হাসপাতালে যেতে দেরি হয়ে যাওয়ায় ভুলবশত রেলের সংরক্ষিত কামরায় উঠে পড়েন।
তিনি বলেন, এর জন্য দায়িত্বরত আর পি এফ পুলিশ কর্মীর কাছে ভুল স্বীকার করে আমি কামরার গেটের সামনে দাঁড়ায়। আমার পরিচয়পত্র, টিকিটও দেখাই। এরপরেও ওই আর পি এফ পুলিশ কর্মী আমাকে হেনস্থা করতে থাকেন। আমার পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়া হয়। সোনারপুর স্টেশনে ট্রেন এলে মহিলা আর পি এফ পুলিশ কর্মী আনিয়ে টেনে হিচড়ে ট্রেন থেকে আমাকে নামানো হয়।
কোনও কথা বলার সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। সোনারপুর আর পি এফ অফিসে নিয়ে গিয়ে ৪ ঘন্টা তাকে বসিয়ে রাখা হয়। তাঁর অভিযোগ, একজন স্বাস্থ্য কর্মী বলার পরও পরিচয়পত্র দেখালেও ভুল করে ওই কামরায় উঠে যাবার কথা বলা হলেও মানসিক চাপ দিয়ে আমাকে লেখার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এমনকি পরিচয়পত্র আটকে রাখা হয়, আদালত থেকে জামিন নিয়ে আবার সোনারপুর আর পি এফ অফিসে এসে পরিচয়পত্র নিতে হয়।
আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের সেবার জন্যই তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যাচ্ছিলাম, কিন্তু রেল পুলিশের হাতে এই হেনস্থা হতে হবে ভাবিনি। প্রশ্ন, স্বাস্থ্য কর্মীদের বরাদ্দ কামরায় পুলিশের চেকিং করা হচ্ছে না কেন? সেখানে কি করে ভিড় হচ্ছে সাধারন মানুষদের তা কেন পুলিশ দেখছে না এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই ঘটনার পর।
No comments:
Post a Comment