করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে নিজেকে বাঁচাতে তথাকথিত দৈনন্দিন লোক সামাজ থেকে একেবারে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে নদী পার্শ্ববর্তী জঙ্গল ঘেরা ফাঁকা এলাকায় গাছের উপর ঘর বেঁধে বসবাস করার নজিরবিহীন এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো নবদ্বীপের মানুষজন। নবদ্বীপ পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের রানির চড়া এলাকায় ভাগীরথী নদী পার্শ্ববর্তী জঙ্গল ঘেরা জায়গায় একটি গাছের ওপর ঘর বানিয়ে রীতিমত সংসার পেতে বসবাস করতে দেখা গেল পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব এক সাধু বা যোগী মহারাজকে। শ্যামল দাস নামে এই সাধু পূর্বে রানীর চড়া এলাকার একজন নামকরা কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। বর্তমানে তাঁর পরিবারে স্ত্রী রয়েছেন তিনি ওই এলাকাতেই নিজের বাড়িতে বসবাস করেন।
সাধুবাবার মেয়েরা বিবাহসূত্রে থাকেন বাইরে।ধর্ম কর্মে মনোনিবেশ করার পর বেশ কয়েক বছর যাবৎ তিনি সংসার ত্যাগ করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ধর্মস্থান পরিদর্শন করার পর বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ভাগিরতি নদীর ধারে গাছের উপর ঘর বানিয়ে একান্তে বসবাস শুরু করেন তিনি। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের অন্ন সংস্থান করেন এই সাধু বাবা। করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে সপ্তাহে একদিন করে তিনি ভিক্ষার উদ্দেশ্যে বের হন বলে এইদিন জানান সাধু বাবা। এছাড়াও আশেপাশের বসবাসকারী মানুষজনদের সাহায্যে তাঁর দিন চলে বলেও জানান সাধু বাবা।
No comments:
Post a Comment