এও সম্ভব! শেষে কিনা মাত্র ১টাকার বিনিময় পঞ্চ ব্যঞ্জন সহযোগে ভরপেট খাওয়ার ব্যবস্থা? একেবারে তাই। মাত্র ১ টাকার বিনিময়েই মিলছে পঞ্চব্যঞ্জনে পেট পুরে খাওয়ার।করোণা আবহে লকডাউন পরিস্থিতিতে এলাকার দিন মজুর,ঠিকা শ্রমিক থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এলো সামশেরগঞ্জ থানা পাড়া কালী মন্দির পূজা কমিটির এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। দৈনিক মাত্র ১ টাকার বিনিময় দুপুরে পেট পুরে খাবারের ব্যবস্থা করছেন তারা।
এছাড়া এলাকায় কোভিড রোগীদের জন্য ওষুধ ও অক্সিজেনও সরবরাহ করছে ওই সংস্থাটি। দুপুরের এই আহারের জন্য সকাল থেকেই টিকিট সংগ্রহের লাইন পড়ছে। লকডাউন ও করোনা আবহে সংস্থাটির এমন উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ। এবিষয়ে, স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক শেখ, নিজাম উদ্দিন বিশ্বাস, রতনদাসেরা বলেন, এই কঠিন সময়ে সাধারন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে যেভাবে ওই সংস্থার যুবকেরা এগিয়ে এসেছে তা প্রশংসার যোগ্য। আমরা এলাকার সকলে তাদের পাশে আছি ও সাধুবাদ জানাচ্ছি"। সংস্থাটি এলাকায় ভালো কাজ করে চলেছে।দুপুরে পেটপুরে আহারের মেনুতে থাকছে ভাত, রুটি, তরকারি, পাঁপড়, চাটনি ও মিষ্টি। মূল্য দিতে হচ্ছে মাত্র এক টাকা।
প্রতিদিন প্রায় ২৫০-৩০০ জনের আহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ ও শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের জন্য অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছে তারা। সংস্থার প্রধান রামকৃষ্ণ সিং বলেন, গত লকডাউন থেকেই এলাকার শতাধিক দুঃস্থ পরিবারকে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দিয়ে আসছি। লকডাউনে মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকেন, তার জন্য আহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ যাতে নিজেকে ছোটো মনে না করেন, তার জন্য এক টাকা করে দাম নেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে, ওই সংস্থার ভলান্টিয়ারের সদস্যরা, বাড়ি বাড়ি অক্সিজেন, খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন। সংস্থার এক সদস্য বলেন, আমরা খবর পেলেই বাইকে করে অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছি। ২২ জন রোগীর অক্সিজেনের ব্যাবস্থা ও অন্তত ১০০ অসহায় পরিবারকে ওষুধ ও খাবার পৌঁছে দিয়েছি। এমন উদ্যোগে খুশি গোটা এলাকাবাসী।
No comments:
Post a Comment