ভেজাল সরষের তেলের কারখানা পর্দা ফাঁস করলেন মহাকুমা শাসক। লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন চাঁচলের কাণ্ডারণ এলাকায় যাই চাঁচোলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল।ঘটনায় ওই কারখানার ৫জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। কারখানার যাবতীয় সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যায়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে মহকুমাশাসক ও চাঁচল থানার পুলিশ। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে,ওই কারখানার মালিকর নাম সঞ্জয় সাহা।
করোনা সংক্রমন রুক্ষতে রাজ্য সরকারের নির্দেশে ১৫দিনের লক ডাউন ঘোষনা করেছে। ইতিমধ্যে লকডাউনের আট দিন চলছে। রবিবার করোনা প্রতিরোধে লকডাউন কেমন চলছে তা সরজমিনে ক্ষতিয়ে দেখতে বেরিয়েছিলেন মহকুমাশাসক৷ সামসীর কান্ডারণে তখন একটি গুদামে চলছিল ভেজাল সরষের তেল তৈরি৷ কাজ করছিল বেশ কয়েকজন শ্রমিক৷ লকডাউনের মধ্যে ফ্যাক্টরিতে কাজ হতে দেখেই মহকুমাশাসক সেখানে ঢুকে পড়েন৷ সঙ্গে ছিলেন এক স্বাস্থ্যকর্তাও৷ তাঁদের চোখে ধরা পড়ে, সেখানে সাধারণ পাম তেলের সঙ্গে নানাবিধ রাসায়নিক, রং, গন্ধ মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভোজ্য তেল৷
অবিকল সরষের তেলের রং আর গন্ধ৷ সব দেখে শুনে অবাক হয়ে ওঠে প্রশাসনিক কর্তার৷ খোঁজখবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন, সামসীর এক ব্যবসায়ী সঞ্জয় সাহা এই কারখানার মালিক৷ খোঁজ শুরু হয় মালিকের৷ কিন্তু বিপদ বুঝেই গা ঢাকা দিয়েছে সেই অসাধু ব্যবসায়ী৷ এরপরেই মহকুমাশাসক চাঁচল থানায় খবর দেন৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই ফ্যাক্টরির পাঁচ কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়৷ বাজেয়াপ্ত করা হয় ফ্যাক্টরির যাবতীয় সামগ্রী এবং উৎপাদিত ভোজ্য তেল৷
উল্লেখ্য,এই প্রথম নয়, বছর দুয়েক আগেও এই ফ্যাক্টরিতে ভেজাল সরষের তেল তৈরির সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা৷ তারপরেও কীভাবে একই ফ্যাক্টরিতে সেই কাজ চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সবার৷
মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল জানান, তিনি এদিন লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছিলেন৷ সেই সময় সামসীর কান্ডারণে এই ভেজাল সরষের তেল তৈরির কারখানা তাঁর নজরে আসে৷ তিনি গোটা বিষয়টি চাঁচল থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন৷ পুলিশকে এর বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করতে বলা হয়েছে৷এছাড়াও উদৃধার হওয়া তেল পরীক্ষার জন্যও বলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment