করোনা মহামারীর মধ্যে কারোর সর্বনাশ , কারোর পৌষ মাস। কারণ, করোনার মৃতদেহ বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে মালদার গঙ্গা নদীতে ভেসে আসতে পারে এমন আশঙ্কার জেরে নদীর মাছ বিক্রি কমে গিয়েছে অনেকটা । এই সুযোগে কালোবাজারি শুরু হয়েছে ডিমের। মালদায় ৫ টাকার পোল্টির ডিম বিক্রি হচ্ছে এখন ৭ থেকে ৮ টাকায় । দেশি মুরগি এবং হাঁসের ডিমের দাম আকাশছোঁয়া। সস্তায় পুষ্টিকর এই ডিমের জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বহু ব্যবসায়ীরা।
অনেককে ক্রেতারা আবার পরিস্থিতি বুঝে প্যাকেট - প্যাকেট ডিম তুলে নিচ্ছেন বাড়ির জন্য। যার কারণে বাজারে অনেকটাই জোগান কম পড়তে শুরু করেছে। এদিকে এরমধ্যে অনেক চিকিৎসকেরা এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে পুষ্টিকর খাবার হিসাবে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এক্ষেত্রেও ডিমের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। সেই সুযোগে মালদার বিভিন্ন হাটে, বাজারে ডিম নিয়ে কালোবাজারির করার অভিযোগ উঠেছে একাংশ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। কয়েক সপ্তাহ ধরে মালদার মানিকচক এবং কালিয়াচকের গঙ্গা নদীতে মাছ ধরা প্রায় বন্ধ রেখেছে মৎস্যজীবীরা।
তাঁদের বক্তব্য , মাছ ধরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে না। পাইকারেরাও আসছে না। আর আরতদারদের কাছে গেল তারাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মাছ ধরার কাজ অনেকটাই কমে গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে মুরগি এবং খাসির মাংসের । গরিব থেকে মধ্যবিত্তের মানুষদের পক্ষে প্রতিদিন মাংস কিনে খাওয়াটা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে একমাত্র রয়েছে পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে ডিম। আর এখন এই ডিম বিক্রি নিয়ে কালোবাজারি চলছে মালদায় বলে অভিযোগ উঠেছে ।
কিছুদিন আগেও ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল পোল্টির ডিম। এখন সেটি কোথাও কোথাও ৭ থেকে ৮ টাকা দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। দেশি মুরগি এবং হাঁসের ডিম ডিম ১২ থেকে ১৪ টাকা দাঁড়িয়ে গিয়েছে দাম। আর এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। তাঁদের অভিযোগ, মাছের পরিস্থিতি এরকম হয়ে যাওয়াতে আশঙ্কা করা হয়েছিল মাংস ও ডিমের দাম বাড়তে পারে। কিন্ত একাংশ ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করে ডিমের দাম নিয়ে কালোবাজারি করছে । এব্যাপারে প্রশাসনকে তদারকি করে দেখা উচিত ।
মালদা শহরের সর্ববৃহৎ ডিমের আরত হিসেবে পরিচিত নেতাজি পুরো মার্কেট। ওই মার্কেটের একাংশ ডিম বিক্রেতাদের বক্তব্য, আমাদের কাছে বাইরে থেকেই মূলত ডিম আমদানি হয়ে থাকে । এছাড়াও দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু বাইরে থেকে যে পোল্টির ডিম আসছে তার দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা লাভ করে আমাদের ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment