কেন্দ্রের অসযোগীতায় শিলিগুড়ির দুই হাসপাতালে আটকে গেলো অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজ। রুগীর প্রাণদায়ী অক্সিজেন আটকে নিন্দনীয় রাজনীতি কেন্দ্রের। রবিবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে কেন্দ্রের অসহযোগীতার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললো শিলিগুরির পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ড। রবিবার জেলাশাসক ও নব নিযুক্ত শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে পুর প্রশাসকের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়।
বৈঠকের পর পুর প্রশাসক বোর্ডের তরফে জানানো হয় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যে দুটি প্রাণদায়ী অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির কাজ চলছিল তা মাঝ পথে আটকে পড়েছে। দ্রুত গতিতে রাজ্যের নির্দেশে কোভিড মোকাবিলায় এই প্ল্যান্ট বসানোর জন্য সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়। তবে কেন্দ্রের তরফে প্ল্যান্ট না দেওয়ায় আটকে গিয়েছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দু -দুটি অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজ।
যাতে করোনারি চরম পরিস্থিতিতে কঠিন সমস্যায় পড়তে হবে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে। জেলায় এখনও অক্সিজেনের যোগান পর্যাপ্ত রয়েছে বলে জানানো হলেও সেই অক্সিজেন দিয়ে সিলিন্ডার ও পাইপলাইন এর মাধ্যমে রুগীকে অক্সিজেন প্রদান সম্ভব। তবে কোভিডে মুমূর্ষু রুগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে বাইপ্যাপ ও একসঙ্গে একাধিক ভেন্টিলেশন চালানোর প্রয়োজন পড়ছে।সেক্ষেত্রে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট না থাকায় সমস্ত ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট মাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে।
যে হারে সংক্রমিত ও গুরুতর কোভিড আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা বাড়ছে প্ল্যান্টের না থাকার জেরে আগামীদিনে বড় সমস্যায় পড়তে হবে এমনটাই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকেরা। পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রঞ্জন সরকার জানান প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য তড়িঘড়ি শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রের সরকার কোভিড নিয়েও নিন্দনীয় রাজনীতিতে নেমেছেন। মানুষের মৃত্যু তাদের কাছে বড় বিষয় নয়।
তারা রাজ্যের যেখানে ৬০টি প্ল্যান্ট পাঠানোর কথা ছিল সেখানে চারটি প্ল্যান্ট পাঠিয়েছেন যার জেরে শিলিগুড়ির দুটি হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট করা যাচ্ছে না। পরিকাঠামো তৈরি থাকা সত্ত্বেও মাঝ পথে কাজ আটকে গিয়েছে। কিন্তু করোনার সময়তে সঠিকভাবে রুগীদের পরিষেবা দিতে আপাদত হাসপাতালগুলিতে পাইপ লাইনের সম্প্রসারনের কাজ চলছে।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন পাইপলাইন সম্প্রসারণের চলছে কাজ। সেখানে নতুন কোভিড ওয়ার্ডে ৪০টি শয্যার মধ্যে ২০টি অক্সিজেন শয্যা থাকছে। পাশাপাশি ৫-৬ শয্যার আইসিইউ করার পরিকল্পনা চলছে।সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরে চালু করা হচ্ছে আরও দুটি সেফহোম।
No comments:
Post a Comment