সোমবার দুপুর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ও ২, বাসন্তী,গোসাবা ব্লক সহ বিভিন্ন ব্লক গুলিতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টিপাত।পাশাপাশি বইতে শুরু করেছে হালকা ঝড়ো হাওয়া।এছাড়া ও সুন্দরবনের নদী গুলিতে জোয়ার জলের উচ্চতা ছিল অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু বেশি।যেহেতু গত ২২ মে থেকে শুরু হয়েছে ভরা কোটাল এবং ২৬ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা।
আর পূর্ণিমা কোটালে জোয়ারে জলে উচ্চতা বাড়ে।এই দিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আর অন্য দিকে ভরা কোটাল।ফলে চিন্তায় সুন্দরবনবাসী।তবে প্রশাসনের তৎপরতা তুঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায়।ইতিমধ্যে সুন্দরবনের নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রেসকিউ সেন্টার ও বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে।ক্যানিং-২ ব্লকে ১৪০ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।সেখানে ইতিমধ্যে প্রায় ৫ হাজার মানুষজনকে আনা হয়েছে নদীর পাড় থেকে সরিয়ে।
ক্যানিং-২ বিডিও প্রনব কুমার রায় এবং ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক সওকাত মোল্লা হ্যান্ড মাইকে সর্তকতা করছেন এই ব্লকের করতোয়া নদীর পাড়ে।এমনকি মৎস্যজীবীরা যাতে পাড়ে চলে আসে এবং নদীতে না যায় সে বিষয়ে সতর্ক করেন মাইকিং করে।ক্যানিং এক নম্বর ব্লকে ৩৫ টি রেসকিউ সেন্টার খোলা হয়েছে।সেই সেন্টার গুলিতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষজন কে রাখা হয়েছে।ইতিমধ্যে ক্যানিং-১ ও ২,বাসন্তী,গোসাবা ব্লক সহ বিভিন্ন ব্লক গুলিতে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম পৌঁছে গিয়েছে এবং সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
গোটা সুন্দরবন জুড়ে পায় ৩ লক্ষ মানুষজন কে সরিয়ে আনার কাজ চলছে দ্রত গতিতে।ফলে প্রতিটি ব্লকে ব্লকে চলছে নদীর পাড় থেকে সরিয়ে এনে রেসকিউ সেন্টারে এবং বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে।যে সমস্ত মানুষজনের ঘরবাড়ির অবস্থা খারাপ তাদের কেউ সরিয়ে আনা হচ্ছে এই সমস্ত সেন্টার গুলিতে।এদিকে যে সমস্ত নদী বাঁধের অবস্থা খারাপ সেখানেই জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কার করা হচ্ছে।ফলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলা প্রস্তুতি তুঙ্গে প্রশাসনের।
No comments:
Post a Comment