আজ বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে রাজ্য ও কেন্দ্রের সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সন্ধেয় ওডিশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের মধ্যে আছড়ে পড়ার কথা তার। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। তবে ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে দাপট।
তাই এই দুই রাজ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে মঙ্গলবার সকাল থেকে। বুধবার সকাল থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে দুই রাজ্যের উপকূলে ২ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত জলচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর দুই রাজ্যে মোট ৪৬টি টিম মোতায়েন করেছে।
নৌকা, গাছ কাটার যন্ত্র, টেলিকম সহ একাধিক যন্ত্রপাতি নিয়ে তৈরি তারা। পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও পণ্ডিচেরী উপকূলেও সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর । রবিবার আরও ১৩টি টিম এয়ারলিফ্ট করে রাজ্য়গুলিতে আনা হয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে সেনা। ভারতীয় বায়ুসেনার মুখপাত্র উইং কমান্ডার আশীষ মোঘে বলেছেন, সহায়তা ও ত্রাণ সরবরাহের জন্য একটি C-17, একটি IL-76, তিনটি C-130s, চারটি An-32 এবং দুটি ডর্নিয়ার পরিবহন বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রয়োজনে Mi-17 V5, দুটি চেতক, তিনটি চিতা, দুটি ধ্রুব এবং সাতটি Mi-17 হেলিকপ্টারও আনা হতে পারে। সাইক্লোন তউকতের জন্য আরব সাগরে যে নৌসেনা মোতায়েন করা হয়েছিল তা বঙ্গোপসাগরে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। পূর্ব উপকূলের আশপাশেই রয়েছে নৌসোনার জাহাজ। সরকারি সূত্রে খবর, ১০ টি HADR প্যালেট ভুবনেশ্বর এবং কলকাতায় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
পোর্ট ব্লেয়ারে পাঁচটি HADR প্যালেট প্রস্তুত রয়েছে। ইস্টার্ন নেভাল কমান্ডের আটটি জাহাজও রয়েছে সমুদ্রে। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে আন্দামান ও নিকোবরের লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতেই এই ব্যবস্থা। বিশাখাপত্তনম ও পোর্টব্লেয়ারে নাভাল এয়ারক্র্যাফ্টও মজুত রাখা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment