ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর এবার নয়া চ্যালেঞ্জ 'ইয়াশ'। ক্রমশই শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ। আশঙ্কা করা যাচ্ছে বুধবার বাংলা ও উড়িষ্যার উপকূলবর্তী অঞ্চলের ওপর আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা গুলি মূলত সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ইতিমধ্যে কড়া সর্তকতা নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। গোটা দিঘা সহ আশেপাশের সৈকত জুড়ে গত দুই থেকে তিন দিন ধরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং প্রচারের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের দ্রুত স্থলভাগের ফিরে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি কোভিড বিধি মেনে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকদের নিয়ে। মূলত ২৫ তারিখ মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলে গুলিতে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরদিন অর্থাৎ বুধবার শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের। তাই দিঘা সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের আগামী ২২ তারিখের মধ্যে দ্রুত স্থলভাগের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। বর্তমানে মৎস্যজীবীদের ৬২ দিন ব্যান পিরিয়ড চলছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ মোকাবিলায় সেখানে ২৪ ঘন্টার একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। নম্বরগুলি হল, ০৩২২৮ ২৬২-৭২৮ ও ৯০৭৩৯৩৯৮০৪।
এদিকে রামনগর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে দফায় দফায় বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য বৈঠক করছেন। ইতিমধ্যে দিঘা এলাকায় এনডিআরএফ ও এসটিএফের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলবর্তী অঞ্চলে গুলিতে যে সমস্ত নড়বড়ে বাড়ি রয়েছে সেই সমস্ত বাড়ি থেকে জেলার ২৬টি রেস্কিউ সেন্টারে মানুষজনদের নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। দিঘার পাশাপাশি হলদিয়ার উপকূল রক্ষী বাহিনীর তরফ থেকে মাঝ সমুদ্রে মাইকিং প্রচার এর মাধ্যমে সতর্ক করার কাজ চলছে। দ্রুত উদ্ধার কাজের জন্য কোস্টগার্ড ভেসেল, হোভারক্রাফট, স্পিড বোটও পাশাপাশি আকাশপথও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment