মিউকর মাইক্রোসিস শনাক্তকরনে পৃথক ল্যাব উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। আরটিপিসিআরেই হতে পারে মিউকর মাইক্রোসিসের শনাক্তকরণ। তবে ভারতে সে কিটের ব্যবস্থা নেই। বিদেশ থেকে সেই কিট আনা হলে আরটিপিসিআর যন্ত্রেই সম্ভব হবে একইসঙ্গে করোনা ও ছত্রাক সংক্রমণের পরীক্ষা। কোভিডের পাশাপাশি এ রাজ্যের ছত্রাক সংক্রমন থাবা বসাতেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দুইয়ের মোকাবিলায় চলছে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে গুরুতর রুগীদের ওপর ছত্রাক সংক্রমণের বিষয়টি নজরে রাখার নির্দেশের পরই তৎপর মেডিকেল।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মাইক্রো বায়োলজিস্ট বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে একজন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক রুগীর মধ্যে প্রাথমিক ছত্রাক সংক্রমনের কিছু উপসর্গ লক্ষ করা গিয়েছে। তার ল্যাব পরীক্ষা নিরিক্ষার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে মিউকর মাইক্রোসিসের শনাক্তকরণের পৃথক ল্যাবের বিষয়ে মাইক্রো বায়োলজিস্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ শান্তনু হাজরা জানান নিয়মিত ছত্রাক পরীক্ষা ও নির্নয় হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের। তবে যেহেতু অতিমারি চলছে, এটাকে আইসিএমআরের তরফে একটি নোটিফায়াবেল ডিজিস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সেক্ষেত্রে তার জন্য পৃথক পরীক্ষা ও নির্নয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে আরও গুরুত্ব দেওয়া যায় বিষয়টিতে। মেডিকেল কর্তৃপক্ষের তরফে বায়োসেপটিক ক্যাবিনেট চাওয়া হয়েছে। একটি আলাদা ল্যাব তৈরি করে সেখানে মিউকর, ফাঙ্গাল কালচার ও ফাঙ্গাল ডায়গোনোসিস থাকবে। ফাঙ্গাস অটোমেশন কিটেই এই পরীক্ষা হবে। তিনি জানান আরটিপিসিআর যন্ত্রে ছত্রাক সংক্রমণের পরীক্ষা ও নির্নয় সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে সেই কিট ভারতে নেই।সেখানে কেন্দ্র সরকারকে এই কিট বিদেশ থেকে কিনে আনতে হবে। শান্তনু বাবু জানান এই বিষয়টির সরকারের অনুমোদন সহ এক দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া রয়েছে।
বেসরকারী ল্যাব বা হাসপাতালগুলি ছত্রাক পরীক্ষার ক্ষেত্রে দ্রুত সে কিট বিদেশ থেকে আনিয়ে নিতে পারে। তবে মেডিকেল কলেজে পরবর্তীতে এই বিষয়গুলি নিয়ে ভাবা হবে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ মাইক্রোবায়োলজিস্ট চিকিৎসক ডাঃ শান্তনু হাজরা সহ তিনজনকে নিয়ে এই ল্যাব আপদত কাজ করবে। পরবর্তীতে অন্যান্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগানো হবে।
No comments:
Post a Comment