ঘূর্ণিঝড় ইয়শ নিয়ে জরুরি বৈঠক দীঘা প্রশাসনের। ২৬ মে সকালেই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়শ’ । ব্যাপক তাণ্ডবলীলা চালাতে পারে দিঘা এবং শংকরপুরেও। তাছাড়াও উপকূলীয় তিন জেলা দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সমস্ত রকম প্রস্তুতিই শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন।একই সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
এই রাজ্য ও উড়িষ্যা উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় 'ইয়শ' আছড়ে পড়ার সতর্কবার্তা দিয়েছে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। হলদিয়ায় অবস্থিত বাহিনীর মূল কার্যালয় ও কন্ট্রোল রুম থেকে মৎসজীবীদের উদ্দেশ্যে ওয়ারলেসের মাধ্যমে সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন তাঁদের ২২শে মে'র মধ্যে ফিরে আসতে। বাহিনীর ডি আই জি সত্য রঞ্জন দাস জানিয়েছেন, ইয়শ-এর মোকাবিলায় বাহিনী সমস্ত রকম ভাবে প্রস্তুত। বাহিনীর তরফে ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে - 'কুইক রেসপন্স টিম'।
অপরদিকে ঝড়ের আগাম সতর্কতা জারি করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ তৎসহ দিঘা উপকূল থানা ও দিঘা থানা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার সকাল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে সৈকত শহরে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে উত্তর বঙ্গোপসাগর -ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে ২৫-২৭ মের মধ্যে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২৪ মে থেকে কেউ যেন গভীর সমুদ্রে না যান।
আর গভীর সমুদ্রে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁরা যেন ২৩ মের মধ্যে উপকূলে ফেরত আসেন। রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি ইতিমধ্যেই রামনগর ১ ও রামনগর ২ ব্লক প্রশাসনের সাথে আগাম সতর্কতা মুলক ব্যাবস্থা নিতে বৈঠক করেছেন।মন্ত্রী জানিয়েছেন কাঁথি ১ ,আ রামনগর ১,রামনগর ২,খেজুরি ১,দেশপ্রান ব্লক প্রমুখ এলাকার ব্লক প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি গুলিকে পরিস্থিতির উপরে কড়া নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন যে কোন পরিস্থিতিতেই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।
No comments:
Post a Comment