পড়া বাদ দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুক নিয়ে মোবাইলে ব্যস্ত থাকায় মেয়েকে বকাবকি করেছিলো অভিভাবকেরা। আর তারই জেরে অভিমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হলো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদা গাজোল থানার রানীগঞ্জ এলাকায়। যদিও ময়না তদন্তের পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিউটি বালো(১৯)। বাড়ি গাজোল থানার রানীগঞ্জ এলাকায়।
সে স্থানীয় কৃষ্ণ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী। বেশ কয়েকমাস আগেই বাবা লালমোহন বালোর মৃত্যু হয়। সম্প্রতি বিউটি একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কেনে।এরপর থেকেই সে পড়াশুনা না করে মোবাইল ফোনের ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপে ব্যস্ত থাকত। যার ফলে তার পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছিল। ঘটনা দেখতে পেয়ে তার মা টুবি বালো মেয়েকে মোবাইল ফোন ছেড়ে পড়াশোনার কথা বলতো। বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে সে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত হয়ে পরে। ঘটনা দেখতে পেয়ে মা বকাবকি করতে থাকে। এরপর তার মা কাজে বাড়ির বাইরে চলে যায়।
এরপর বিউটি বিষ খেয়ে মাটিতে পরে ছটফট করতে থাকে। মা বাড়িতে এসে তাকে এই অবস্থায় দেখে চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে স্থানীয় প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এদিন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
No comments:
Post a Comment