কালবৈশাখী এবং শিলা বৃষ্টির জেরে তুলনামূলকভাবে আমে ক্ষয়ক্ষতি হয় নি বলে জানিয়েছে উদ্যানপালন দপ্তর। মালদা জেলার বিভিন্ন ব্লকে ঝড়-বৃষ্টির জেরে যে পরিমাণ ফসল , সবজিতে ক্ষতি হয়েছে । সেই তুলনায় আমের ক্ষতি নেই বললেই চলে। যার কারণে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে আমচাষীদের। উদ্যানপালন দপ্তর জানিয়েছে, চাচোল মহাকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে । এর বাইরে মালদা সদরের বিভিন্ন ব্লকগুলোতে শিলা বৃষ্টি হয় নি। চাচোল মহাকুমার থেকে মালদা সদরের বিভিন্ন ব্লকগুলিতে আম গাছের সংখ্যা বেশি।
ফলে আম উৎপাদনে ক্ষেত্রে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে তুলনামূলক ক্ষতি তেমন নেই। বরঞ্চ এই বৃষ্টির জেরে আমের গোড়া অনেকটাই মজবুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার ফলে আমের গুণগতমান অনেক টাই ভালো হবে। এদিকে কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দফায় দফায় ঝড় এবং শিলা বৃষ্টির জেরে মালদা জেলার নয়টি ব্লকে বোরো ধান এবং পাটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা স্নেহাশীষ কুইলা জানিয়েছেন, মালদা জেলার চাচল ১, হরিশ্চন্দ্রপুর ১, রতুয়া, গাজোল, বামনগোলা সহ নয়টি ব্লকে ২২ হাজার হেক্টর জমি জুড়ে বোরো ধানের চাষ এর ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি ৯ হাজার হেক্টর পাটের জমিতে ক্ষতি হয়েছে ।
বিভিন্ন ব্লকের আধিকারিকদের এই সমস্ত ক্ষতি রিপোর্ট সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সেই ক্ষয়ক্ষতি রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে মালদা জেলায় আর কদিন পরে জলদি জাতের আম যথা গোপালভোগ , হিমসাগর, আম্রপলি , গুটি প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের আম গাছ থেকে পাড়ার কাজ শুরু হবে। কিছু কিছু গাছে ইতিমধ্যে আম পরিপক্ক হতে শুরু করেছে। তারই মধ্যে আচমকা ঝড় বৃষ্টির জেরে আমের গোড়া অনেকটা শক্ত করবে বলেই মনে করছে চাষী থেকে উদ্যানপালন দপ্তর । যদিও শিলাবৃষ্টিতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমের কালো দাগ হলেও তুলনামূলক সেই পরিমাণ অনেক কম।
No comments:
Post a Comment