প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চয়ের মাধ্যমে ‘অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হওয়া ‘তাউকটে' গুজরাটে তাণ্ডব চালিয়ে অবশেষে দুর্বল হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘণ্টায় মাত্র ১১ কিমি বেগে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে শক্তি হারিয়ে সরে গিয়েছে তাউকটে। তবে গতিপথে এটি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। যার প্রভাবে বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি উপড়ে গেছে গাছপালা, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা।
সোমবার রাত ৯টার দিকে গুজরাট উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে তওকত। গত প্রায় দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়ের এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে আরব সাগরের উপকূল এলাকা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক। দমকা হাওয়ায় উপড়ে পড়েছে একাধিক গাছ, ইলেকট্রিক পোস্ট। ভেঙে গিয়েছে বহু ঘর-বাড়ি, দোকানপাট। রাতভর ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা।
গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হয় একাধিক রাস্তা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দমন ও দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগও। আনন্দওয়াদি পোতাশ্রয়ে ৭ নাবিক সহ দুটি নৌকো ডুবে যাওয়ার খবর মিলেছে। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনায় মহারাষ্ট্রের কোঙ্কনে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। প্রায় তিন ঘণ্টা গুজরাটের উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে দুর্বল হতে থাকে। এদিকে ঝড়ের প্রভাবে সাময়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকা মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম ফের চালু হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় বন্ধ হওয়া কার্যক্রম রাত ১০টা নাগাদ চালু হয়। এ সময়ে বিমানবন্দরে অন্তত ৫৫টি ফ্লাইটের বহির্গমন ও অবতরণ বাতিল করা হয়। একই কারণে কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকার পর আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ শুরু হয়। এর আগে ‘তাউকটে' র আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় গুজরাটে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। উপকূল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয় দেড় লাখের বেশি মানুষকে।
মহারাষ্ট্রেও উপকূলীয় এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
No comments:
Post a Comment