এবারে হাতের মুঠোয় ধরা দেবে শিলিগুড়ি পুরোনিগম। দ্রুত ই-পুরনিগম পরিষেবা চালুর উদ্যোগ শিলিগুড়ি পুরো নিগমের প্রশাসক বোর্ডের। শুক্রবার রাজ্যের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে জরুরি বৈঠক সারে শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক মন্ডলী। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে কোভিড মোকাবিলা সহ পুর পরিষেবা বাবদ ২০কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগমে। দীর্ঘ বাম আমলে শহরের যে একাধিক সমস্যাগুলি রয়েছে তা দ্রুত সারাইয়ে নির্দেশ রয়েছে রাজ্যের তরফে। সেমতো দীর্ঘদিন ধরে শিলিগুড়িবাসির পানীয় জলের সমস্যা বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নয়া প্রশাসক বোর্ড।
এদিন বৈঠকের পর প্রশাসক মন্ডলীর তরফে জানানো হয় ইতিমধ্যেই আমরা প্রায় ২০ কোটি টাকা পেয়েছি । গ্রিন সিটি মিশনের অর্থ শিঘ্র আসবে। ফুলবাড়ীতে বিকল্প জলপ্রকল্পটির ওপর নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে বিশাল পরিমাপের এই প্রকল্পের কাজ পুরোটা সম্পন্ন না হলেও শিলিগুড়িবাসীকে জল কষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দীর্ঘ সময় ধরে প্রাক্তন বাম মেয়র অশোক ভট্টাচার্য্য ক্ষমতায় থেকেও শহরে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেননি।
অন্যদিকে একইসঙ্গে শিলিগুড়ি পুর এলাকারবাসীদের দীর্ঘমেয়াদি দাবি আন্ডার গ্রাউন্ড নিকাশি ব্যবস্থা, আন্ডার গ্রাউন্ড বৈদ্যুতিক এবং কেবল সংযোগ, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, জঞ্জাল অপসারণ, নাগরিক পরিষেবার পরিকাঠামোর উন্নয়নের বিষয়গুলিতেও পরিকল্পনা নিচ্ছে নির্বাচিত বোর্ড। নাগরিক পুর পরিষেবার মান উন্নয়ন করতে এই পুর বিভাগীয় সমস্ত দপ্তরীয় যাবতীয় কাজকে হাতের মুঠোফোনে বন্দী করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একাধিকবার পুরসভার নাগরিক পরিষেবা নিয়ে তৃণমূলের তরফে এই ধরনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে প্রাক্তন বোর্ড বৈঠকে। তৎকালীন বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার একাধিকবার জানিয়েছেন তৃণমূল ক্ষমতায় এলেই শিলিগুড়ি পুরো নিগমে ই পরিষেবা চালু করা হবে।
যাতে মানুষকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ফাইল হাতে এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তর অযথা হেনস্তা হতে না হয়। তার পরিবর্তে বাড়িতে বসেই আন্তঃজাল মারফৎ গোটা পুর নিগমের সমস্ত দপ্তরের কাজ সারতে পারবেন নাগরিকেরা। তৃনমূলের দাবি তাতে নাগরিকদের কাছে পুরনিগমের কর্মী নিয়োগ থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণ, বার্ধক্য সহ একাধিক ভাতা ও তার প্রাপকের তালিকা, জন্ম মৃত্যু নিবন্ধিকরন সবটাই স্বচ্ছ থাকবে। আর প্রশাসক বোর্ডের দায়িত্ব মেলার পরই নিজেদের কথায় অবিচল প্রশাসক বোর্ড। এদিন রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে দপ্তরিয় ভাবে এই প্রস্তাব পেশ করা হয়। আর তাতে যে রাজ্যের সবুজ সংকেত মিলে গিয়েছে তা স্পষ্ট প্রশাসক মন্ডলীর কথায়।তারা জানান দপ্তরী কাগজ হাতে আর ছুটোছুটি করতে হবে না। কাগজের ভার কমিয়ে দ্রুত কাজের ওপর জোর দিতে চালু করা হচ্ছে ই পরিষেবা।
No comments:
Post a Comment