ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের প্রত্যক্ষ প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়লেও বাদ যাবেনা উত্তরবঙ্গ বিশেষ করে মালদা উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের মত জেলায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তাই ঝুঁকি না নিয়ে সোমবার দুপুরে জেলা শাসকের পৌরহিত্যে রায়গঞ্জের কর্নজোড়ায় জেলা শাসকের দফতরে জরুরি বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। সেই বৈঠকে বন, বিদ্যুৎ, সেচ, স্বাস্থ্য, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে শুরু করে সমস্ত জরুরী পরিষেবায় যুক্ত দফতরগুলিকে নিয়ে এদিনের বৈঠকে ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জেলা শাসক জানিয়েছেন।
শুধু তাইই নয়, সাধারণ মানুষের জন্য ইয়াস কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে জেলার তরফে। যার নম্বর হল- ০৩৫২৩-২৪৬১৫৩। সেইসঙ্গে সোমবার থেকে জেলার বিভিন্ম এলাকায় মাইক যোগে চলছে সচেতনতা। বিশেষ করে জমিতে পড়ে থাকা ধান, ভুট্টা ও অন্যান্ন ফসল ও সব্জী দ্রুর কেটে মজুত করার ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে। এদিন হেমতাবাদ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে মাইকে প্রচার করল প্রশাসন।
চাষীদের জমি থেকে ফসল তুলে নেওয়ার বার্তার পাশাপাশি ঝড় বৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার ব্যাপারেও সচেতন করা হচ্ছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধান চাষ হয়েছে। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। বাকি ১০ শতাংশ রয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ ধানও যাতে তাড়াতাড়ি কেটে বাড়িতে নিয়ে আসে তার জন্য জেলা কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment