শিলিগুড়িতে পরিক্ষামূলক ভাবে চালু দুয়ারে রেশন। জেলার মধ্যে শিলিগুড়ি চম্পাসরী এলাকায় প্রথম বৃহস্পতিবার পরীক্ষার মূলক ভাবে প্রকল্পটি চালু করা হচ্ছে। প্রথম দিনে ৫০-৬০টি পরিবারের বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেওয়া হবে রেশনসামগ্রী। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গবাসীকে জানিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের ক্ষমতায় এলে মানুষকে আর রেশনের দোকানে লাইনে দিয়ে দাঁড়াতে হবেনা। সরকার প্রতিটি পরিবারকে তার বাড়ির দরজায় তার প্রাপ্য রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেবে। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন সে কাজে সময় বিলম্ব একেবারেই বরদাস্ত নয় তার।
তা দ্রুত কার্যকরী করেন তিনি। সে মোতাবেক আপাদত দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি ক্ষেত্র ছাড়া প্রতি জেলায় পরীক্ষণমূলক কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের নির্দেশ মতো দার্জিলিং জেলায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বুধবার শিলিগুড়িতে রেশন ডিলারদের সঙ্গে খাদ্য দপ্তরে বৈঠক করেন জেলা খাদ্য নিয়ামক শাশ্বত সুন্দর দাস। তিনি বলেন সম্পূর্ণ পরীক্ষা মূলক ভাবে এই কাজ শুরু করা হয়েছে। এখন আমরা জেলায় এলাকাভিত্তিক ছোট ছোট জায়গাকে নির্বাচন করে পরীক্ষনমূলক ভাবে প্রকল্পটি চালু করছি। সেক্ষেত্রে দার্জিলিং জেলার ক্ষেত্রে সমতলে শিলিগুড়িতে চম্পাসরী এলাকাকে বাছাই করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার চম্পাসরী এলাকায় ৫০-৬০টি পরিবারকে বাড়ীতে পৌছে দেওয়া হবে রেশন।
তিনি জানান প্রথমে আইসিডিএস সেন্টারের মাধ্যমে এই পুরো প্রক্রিয়াটি কার্যকরী করার কথা হয়েছিল। তবে বুধবার চূড়ান্ত বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় একটি রেশন ডিলারই তার এলাকায় রেশন প্রাপকদের তালিকা অনুসারে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবে। প্রথম পর্যায়ে চম্পাসরীর রেশন ডিলার বিশ্বনাথ ঘোষ রেশন সামগ্রী গাড়িতে করে সরবরাহ করবে। সেক্ষেত্রে জেলা খাদ্য দপ্তরের তরফে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় রেশন ডিলারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে কোথায় কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং তার সমাধান কি হতে পারে তা দেখবে জেলা খাদ্য দপ্তর।
রেশন পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবহন ও প্যাকেজিং বাবদ যাবতীয় খরচ সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারকে দেবে রাজ্য। রেশনপ্রাপকেরা যে ধরনের ক্যাটাগরিতে পড়েন সে হিসেবেই দেওয়া হবে সামগ্রী। সমস্ত জেলায় প্রকল্পের পরীক্ষণমূলক কাজের রিপোর্ট পাঠানো হবে রাজ্য খাদ্য দপ্তরে। সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলার জানান ইতিমধ্যেই মাসের বেশ কিছুদিন চলে যাওয়ায় অনেকেই রেশন নিয়ে গিয়েছেন দোকান থেকে। বাকি যারা রয়েছে তাদেরকে দেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment