ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক এখন চারিদিকে। নদীয়ার প্রধান ভাগীরথী নদীতে জলপথ পারাপারের জন্য রয়েছে প্রায় নটি প্রধান ফেরিঘাট, এবং বেশ কয়েকটি অস্থায়ী ঘাট। প্রত্যেকটি জায়গায় পুলিশি তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের আতঙ্কে বেশ কয়েক জায়গায় লক্ষ্য করা গেল মাছ ধরতে যাওয়া পরিবহনের জল থেকে সে গুলোকে সকলে মিলে ডাঙ্গায় তুলছে। দীর্ঘ আটকে থাকা কলকাতা থেকে আসা দুটি লঞ্চ, শান্তিপুরের নদী পারাপারের কাজে ব্যবহৃত দুটি লঞ্চ করতে নিজেদের মধ্যে মোটা শক্ত দড়ি দিয়ে বাঁধার কাজ চলছে।
পড়ের দিকে জলে থাকা, লঞ্চ দুটির নোঙোর ফেলা বাদেও মাটিতে তিন, চারটি টি বাঁশ একসাথে পুঁতে তাতেও বাড়তি সতর্কতা হিসেবে বেঁধে রাখছেন তারা। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, নিয়মিত আবহাওয়া দপ্তর এর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের, আর তাদের মাধ্যমেই নিয়মিত খবর পাচ্ছেন আবহাওয়ার। তবে কোনমতেই লঞ্চ ছেড়ে যেতে রাজি নন তারা।
অন্যদিকে, রানাঘাট চূর্ণী নদীতে নৌকা বাঁধার কাজ চলছে। নৌকার মাঝিরা জানান, গতকালকে থেকেই নৌকা জল থেকে ডাঙ্গায় তোলার কাজ শুরু হয়েছে। একটি নৌকা তুলতে দশ বারোজনের প্রয়োজন হয় কমপক্ষে। তাই সকলের নৌকা সকলে হাত লাগিয়ে সহযোগিতা করছেন সকলে। শান্তিপুর নিশ্চিন্তপুর ঘাটে এই রকমই বাইশটি নৌকা তোলা হয়েছে ডাঙ্গায়।
No comments:
Post a Comment