ঘূর্ণিঝড় যশ এর আতঙ্কে ক্যানিং মহকুমাবাসী - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Sunday 23 May 2021

ঘূর্ণিঝড় যশ এর আতঙ্কে ক্যানিং মহকুমাবাসী

  


কথায় আছে নদীর পাড়ে ঘর,বিপদ সারা মাস।আর এই বিপদ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে।একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের স্মৃতিকে আকড়ে ধরে আজ ও বেঁচে আছে সুন্দরবনবাসী।১৮৬৭ সালের ভীষণ ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের ক্যানিং বন্দরের সাংঘাতিক ক্ষতি হয় এবং মাতলা নদীতে ডুবে যায় জাহাজ।ক্ষতি হয় ক্যানিং ডকের এবং রাস্তাঘাট ধুয়ে মুছে যায়, পরিকাঠামোর ধ্বংস হয়ে যায়।ফলে ১৮৭১ সালে সরকার ক্যানিং বন্দর বন্ধ ঘোষণা করে।তারপর একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবন।২০০৯ সালের ২৫ মে আয়লা,নভেম্বরে বুলবুল,২০২০ সালের ২০ মে আমফান বিগত বছর গুলির এই প্রতিটি সাইক্লোনে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়ে ছিল সুন্দরবন।


ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে ম্যানগ্রোভ অরণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ছিল।তবে বর্তমানে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল সুন্দরবন।আর সেই সময় আবহাওয়া দফতরের সূত্রে খবর আগামী ২২ মে উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হবে।যা থেকেই তৈরি হতে পারে সাইক্লোন।ঝড়ের অভিমুখ হতে পারে বাংলার দিকে।আর এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম যশ।আর এই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ এমনি খবর ছড়িয়ে পড়তে আতঙ্কে দিন কাটাতে শুরু করেছে সুন্দরবনের ক্যানিং মহকুমাবাসী।তবে ইতিমধ্যে ক্যানিং-১ বিডিও শুভঙ্কর দাস,ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক পরেশ রাম দাস সহ সমস্ত পঞ্চায়েতের প্রধান,উপ প্রধান,পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করে ঘূর্ণিঝড় বিষয় নিয়ে।বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় যশ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।আজ থেকে শুরু হবে মাইক মাইকিং মাধ্যমে সর্তক বার্তা।


পাশাপাশি নদীতে বা সাগরে কেউ যাতে না যায় এবং যারা মাছ ধরতে গিয়েছে তারা যেন পাড়ে ফিরে আসে সে বিষয়ে সতর্ক বার্তা দেওয়া হচ্ছে।এছাড়া ও যে সমস্ত মানুষজন নদীর পাড়ে বসবাস তাদের অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ও তোড়জোড় শুরু হয়েছে।সুন্দরবনের ক্যানিং-২,বাসন্তী,গোসাবা সহ বিভিন্ন ব্লক গুলিতে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় যশ বিষয়ে সতর্ক করা বিষয়ে।আর বিষয়ে কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছে সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে বিধায়ক,কোষ্টাল পুলিশ সহ বিভিন্ন দফতরের সরকারি কর্মীরা।চলছে সুন্দরবনের নদী পথে মাইক মাইকিং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে।এমনকি গোসাবা ব্লকের রেসকিউ সেন্টার গুলি করা হচ্ছে স্যানিটাইজার।গোসাবা বিডিও সৌরভ মিত্র জানান রেসকিউ সেন্টার গুলিতে স্যানিটাইজার করা হচ্ছে।পাশাপাশি নদী ও স্থল পথে ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে সাধারণ মানুষজন কে সতর্ক করা হচ্ছে মাইক মাইকিং মাধ্যমে।এছাড়া সরকারি ভাবে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad