উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার থেকে করোনায় মৃতদের দেহ গঙ্গা নদী হয়ে ভেসে আসতে পারে মালদার মানিকচকে। এই তথ্য জানার পরই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার গঙ্গা নদীর ঘাটগুলিতে ব্যাপক নজরদারি চালালো শুরু করেছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দিনভর চলেছে মোটর চালিত জলযান নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের তদারকি। এমনকি রাতেও সার্চ লাইট লাগানো নৌকা করে চালানো হয়েছে টহলদারি।
পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্যের গঙ্গা নদীতে করোনায় আক্রান্ত অনেক মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইসব মৃতদেহ নদীপথে ভেসে মালদার মানিকচকের গঙ্গার ঘাটে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই মৃতদেহগুলি যদি মানিকচকের গঙ্গার ঘাটে কোনরকমে ভেসে চলে আসে, তাহলে সেগুলিকে তুলে নিয়ে সৎকার্য করার জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের। রাজ্য সরকারের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয় মানিকচক এলাকাজুড়ে গঙ্গার ঘাটের ব্যাপক নজরদারি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর সহ স্থানীয় জেলেদের একটি সংগঠনকেও এই কাজে লাগানো হয়েছে। তাই ভয়ঙ্কর কিছু হওয়ার আগেই মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্ন থেকে। জেলা প্রশাসনিক সূত্র থেকে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
গঙ্গা নদীর তীরবর্তী ব্লক আধিকারিকদের নজরদারির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলতঃ মানিকচক,কালিয়াচক ২ ও ৩ ব্লক আধিকারিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই এলাকার গঙ্গা নদীতীরবর্তী স্থানগুলিতে ১০ থেকে ১২টি নৌকার মাধ্যমে নজরদারি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নদীতে যারা মাছ ধরতে যান ও নৌকা পরিষেবা দিয়ে থাকেন তাদের কেউ জানানো হয়েছে গঙ্গাঁ নদীতে যদি কোন মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায় তৎক্ষণাৎ যেন সংলিষ্ট থানা বা ব্লক দপ্তরে খবর দেওয়া হয়। এছাড়াও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যদি কোন মৃতদেহ পাওয়া যায় তবে তাকে সম্মানের সাথে সৎকারের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্ন থেকে।
No comments:
Post a Comment