বারবার বিভিন্ন রকমের উদ্ভট বিজ্ঞপ্তি জারি করে চাপের মুখে পড়ে প্রত্যেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ , জনসমক্ষে মুখ পুড়ছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। খামখেয়ালী হিটলারি শাসনের বিরুদ্ধে গত দু'বছর থেকে সোচ্চার হয়েছে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক অধ্যাপিকা গন । করোনার পরীক্ষা নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, সেই বিজ্ঞপ্তিতে লেখা ছিল, বিশ্বভারতীর পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতাল করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে , একটি বেসরকারী প্যাথল্যাব আরটি - পিসিআর পরীক্ষা করবে বিশ্বভারতীর সমস্ত অধ্যাপক অধ্যাপিকা, ছাএ - ছাএী দের, সহযোগিতা করবে বিশ্বভারতী।
কিন্তু এই পরীক্ষার জন্য প্রত্যেককে খরচ করতে হবে ১৬০০ টাকা। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদের দাবি সকলের পরীক্ষা যাতে বিনামূল্যে করা হয় পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা অবিলম্বে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ করতে হবে। এই পরীক্ষা কেন টাকা নিয়ে করা হবে এ প্রশ্ন তোলেন অধ্যাপক অধ্যাপিকা দের একাংশ । আসলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবকিছুর মধ্যেই ফায়দা খোঁজেন , তাই করোনা মহামারীর পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তিনি নিজের পকেট কিছু লভ্যাংশ ঢোকাতে চেয়েছেন, এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিশ্বভারতীর প্রবীণ আশ্রমিক সুবোধ মিত্র। তিনি বলেন , পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার কারণে বদ্ধ পাগলে পরিণত হয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিশ্বভারতীতে বিজেপির হার নিয়ে একটি আলোচনা সভা করতে চেয়ে ছিলেন, কিন্তু সমালোচনার মুখে পড়ে সেই বিজ্ঞপ্তিও তিনি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন। বারে বারে তিনি এমন কর্মকাণ্ড করছেন তাতে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শ ভাবনা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। বিভাগের ছাত্র সোমনাথ সৌ বলে , অত্যন্ত লজ্জাজনক ব্যাপার এই রকম একটি দুর্বিষহ মহামারী অসুখের পরীক্ষার জন্য ১৬০০ টাকা খরচ করার কথা ঘোষণা করেছে বিশ্বভারতী। এটা অত্যন্ত লজ্জার ও ঘৃণ্য বিষয়। প্রচন্ড সমালোচনার মুখে পড়ে অবশেষে সোমবার গভীর বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে , যেখানে স্পষ্ট ভাষায় লেখা হয়েছে অনিবার্য কারন বশত করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা বাতিল করা হলো।
No comments:
Post a Comment