হাতে আর মাত্র আর কয়েক ঘন্টা সময় । তারপরই এ রাজ্যে আছড়ে পড়বে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়শ । আগামীকাল সন্ধ্যের পর ইয়শের প্রভাব শুরু হবে বাঁকুড়া জেলায় । ২৬ মে সর্বাধিক ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাঁকুড়া জেলায় । অন্তত তেমনটাই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের । আর এই ইয়শের জেরে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এবার বাঁকুড়ার কৃষি প্রধান অঞ্চলগুলিতে চরম সতর্কতা জারি করল কৃষি দফতর । সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশিকার প্রচারে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পাশাপাশি কৃষি দফতরের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে মাইক প্রচার ।
বাঁকুড়ার সারেঙ্গা , রাইপুর , ইন্দাস , পাত্রসায়ের, জয়পুর , কোতুলপুর ও সোনামূখী সহ বিভিন্ন ব্লক কৃষি প্রধান অঞ্চল হিসাবে পরিচিত । এই এলাকার অধিকাংশ জমিতেই এখন বোরো ধান পাকা অবস্থায় রয়েছে । বাঁকুড়া জেলায় বোরো চাষ একটু নাবি হওয়ায় এখনো বোরো ধান কেটে বাড়িতে তুলতে পারেননি জেলার বহু চাষী । বোরো ধান ছাড়াও এই সময় মাঠে রয়েছে কয়েক হাজার হেক্টর তিল । তিল চাষের ক্ষেত্রে মাঠে জল দাঁড়িয়ে থাকার পরিস্থিতি অত্যন্ত ক্ষতিকর । গ্রীষ্মকালীন সবজী ও মাচা সবজীর ক্ষেত্রেও অত্যন্ত ক্ষতিকর ভারি ও একনাগাড়ে বৃষ্টি ।
এই বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে কৃষি দফতর জেলার কৃষি প্রধান অঞ্চলগুলিতে সতর্কতা জারি করেছে । বাঁকুড়া জেলায় ইয়শের প্রভাবে ২৬ মে থেকে বৃষ্টি হতে পারে এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে মাঠে থাকা পাকা বোরো ধান আগামী কালের মধ্যে কেটে বাড়িতে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে । পাশাপাশি তিল ও গ্রীষ্ম কালীন ও মাচা সবজীর জমি থেকে জল বের করার যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কৃষি দফতরের তরফে ।
বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা সজল পতি বলেন, শুধু সারেঙ্গা ব্লকেই এক হাজার দুশো কুড়ি হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে । এর মধ্যে বেশিরভাগ জমির বোরো ধান পাকা অবস্থায় রয়েছে । আমরা গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে এই পাকা ধান ২৫ মে র আগে বাড়িতে তুলে আনার কথা বলেছি । এছাড়াও মাঠে এখন তিল রয়েছে । এই তিল একেবারেই ভারী বৃষ্টি সহ্য করতে পারে না । সেজন্য তিলের জমিতে জল নিকাশীর ভালো ব্যবস্থা রাখার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে চাষীদের ।
No comments:
Post a Comment