ডেটিং এপের আড়ালে অর্থ লুঠের চক্র। জলাপাইগুড়ি সাইবার থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার দম্পত্তি। জানা গিয়েছে বেশকিছুদিন ধরেই ডেটিং সাইট চালানোর নামে একটি সংস্থা যুবক যুবতীদের টার্গেট করছে। সে ক্ষেত্রে সোশ্যাল সাইট এর মাধ্যমে যুবক-যুবতীরা এডিটিং সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এরপরই এপে প্রবেশ করানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ধীরে মেসেঞ্জারে চ্যাট সেকশন এর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে টাকা লুঠ করা হচ্ছে।
ভ্যারচুয়াল অশালীনতার পরিবর্তে গুনতে হচ্ছে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মোটা অংকের টাকা। তবে এখানেই নিস্তার নয়। ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল যৌন অশালীনতার ঘনিষ্ঠ সময়ের অ্যাপ ব্যবহারকারী যুবক যুবতীর স্কিন রেকর্ড রাখা হয়। আর এরপরই তা ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে যুবক যুবতীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হরফে করে এই সংস্থার মালকিন দম্পত্তি। অভিযুক্ত দম্পতি শিলিগুড়ির বাসিন্দা তারকনাথ সাহা ও তার স্ত্রী সঙ্গীতা সাহা।
শিলিগুড়ি সংহতি মোরের বাসিন্দা তারা। বেশ কিছুদিন আগে জলপাইগুড়ির একটি যুবককে এই ধরনের চক্রের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করতে লাগেন ওই দম্পত্তি। জলপাইগুড়ি ওই যুবক কুল কিনারা না পেয়ে সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই শনিবার রাতে অভিযানে নেমে শিলিগুড়িতে পৌঁছায় জলপাইগুড়ি জেলার থানার তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
তবে অভিযানের খবর কানাঘুষো পেয়ে নিজের বসতি ছেড়ে শিলিগুড়ির অদূরে শালবাড়ি এলাকায় একটি ভবনে গা ঢাকা দেয় দম্পতি। জলপাইগুড়ি সাইবার থানা আধিকারিকেরা প্রধান নগর থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সহায়তায় শালবাড়ি ভবনে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে দম্পতিকে। রবিবার তাদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। কাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভিডিও চ্যাট, প্রতারণার সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে জলপাইগুড়ি সাইবারক্রাইম থানা।
No comments:
Post a Comment