দুর্গাপুর থানা এলাকার স্টিল টাউনশীপের বি-জোন রামান্যুজম এলাকায় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার একটি আবাসন থেকে উদ্ধার স্বামীর মৃতদেহ।মৃতের পরিবারের অভিযোগ মৃতের স্ত্রীর সাথে স্থানীয় এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা মিলিতভাবে ওই ব্যাক্তিকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে এই ঘটনাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রমান করতে চাইছে।দুর্গাপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।অপেক্ষা তার রিপোর্টের। আপাতত মূল অভিযুক্ত মৃতের স্ত্রী,তার বোন ও পিরু আনসারিকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে।।
মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসীদের অভিযোগ গত তিন বছর ধরে জানে আলম মির্দার স্ত্রী শফিয়া মির্দা দুর্গাপুরের রামান্যুজম এলাকার ইস্পাত কারখানার শ্রমিক আবাসনে ভাড়া দিয়ে থাকত। মাঝেমধ্যেই সফিয়া মির্দার স্বামী জানে আলম মির্দা সেখানে যেত। অন্যদিকে জানে আলম মিরদার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল ওই এলাকার এক ব্যাক্তি পিরু আনসারীর সাথে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলাকাবাসীদের একাংশ অভিযোগ করছেন মঙ্গলবার ষড়যন্ত্র করে তার স্ত্রী এবং পিরু আনসারী পিটিয়ে মারে জানে আলাম মির্দাকে। তারপর তার দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার রাত্রে জানে আলম মির্দার ভাই কাজে যাওয়ার সময় কোয়ার্টারের পাশে গাছে তার দাদার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাই। খবর দেয় এলাকায়। খবর জানাজানি হতেই এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দুর্গাপুরের বি-জোন ফাঁড়ির পুলিশকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ মূল অভিযুক্ত পিরু আনসারী এবং মৃত জানে আলম মির্দার স্ত্রী সাফিয়া মির্দা। বি-জোন ফাঁড়ির পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত তিন জনকে আটক করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর এই মৃত্যুর সঠিক রহস্য জানা যাবে বলে জানা গিয়েছে।
No comments:
Post a Comment