মুখ্যমন্ত্রীকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানালেন মালদা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা বর্তমান মৎস্য কর্মধ্যক্ষ সরলা মুর্মু । এদিন তিনি বলেন বিজেপিতে গিয়ে অনেক বড় ভুল করেছি , দিদি যাতে ক্ষমা করে দেন আমি আবার তৃণমূলে ফিরতে চাই । এদিকে এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর বিজেপি তাসের ঘরের মতো ভাঙছে। বিজেপির অনেক বিধায়ক সাংসদ, নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন।
তবে তাদের নেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।' সরলাকে হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। প্রার্থী ঘোষণার পর হঠাৎ করেই সরলা মুর্মু তৃণমূল ছেড়ে ভাজপায় যোগদান করেন । কিন্তু বিজেপিতে যাওয়ার পর তাকে আর কোন বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেনি ভাজপা ।
এরপর থেকেই কার্যত একঘরে হয়ে যান একদা পুরাতন মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের দোর্দণ্ডপ্রতাপ আদিবাসী এই নেত্রী সরলা মুর্মু। এখন নিজের ভুল বুঝতে পেরে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থীর কথা জানিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য সরলা মুর্মু । তাঁর আক্ষেপ, অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি। বিজিবিতে থেকে কাজ করা যায় না । ভুলটা আমি নিজেই করেছি। তাই আমি নিজের থেকেই দিদির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন অনেকেই মান অভিমান করে দল ছেড়েছেন। তারা আসতে পারেন। আর দিদির সেই ডাকে সাড়া দিয়ে আমি আবার তৃণমূলে ফিরতে চাই। রবিবার পুরাতন মালদার নিজের বাড়িতে বসেই রীতিমতো ভাঙ্গাসুরেই তৃণমূলের ফেরার কথা জানিয়েছেন আদিবাসী নেত্রী সরলা মুর্মু। জেলা তৃণমূলের সাফ কথা, এই ধরনের সুবিধাবাদী নেতা-নেত্রীদের দলে না নেওয়াই ভালো।
যখন মুখ্যমন্ত্রী ওই আদিবাসী নেত্রীকে বিশেষ সম্মান দিয়ে হবিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলেন। তখন তিনি দলের সম্মানের কথা মাথায় রাখেন নি। নিজের স্বার্থ কায়েম করতেই দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে দেয় । এতে আমাদের জেলা নেতৃত্ব ছোট হয়েছে। এখন রাজ্যে তৃণমূল আবার সরকার গঠন করেছে। নিজের ক্ষমতা জাহির করতেই আবারো তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন উনি ।
No comments:
Post a Comment