আমফানের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর বারাসতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় পথে নামল বারাসত পৌরসভা। সোমবার সকাল থেকেই বারাসত শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিপদজনক গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে ফেলা হল। সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংও।
গতবছর আমফান ঘূর্ণিঝড়ে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিপর্যস্ত হয়। তার মধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলার সদর বারাসতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ভেঙে পড়েছিল রাস্তার পাশের বড় বড় গাছ। ভেঙে পড়েছিল বিদ্যুতের খুঁটিও। বিভিন্ন গাছে ও বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝোলানো বিজ্ঞাপনের হোডিংগুলো উড়ে গিয়ে পড়েছিল অন্য কোথাও। আমফানের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে বারাসত পৌর কর্তৃপক্ষ। তাই ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিল বারাসত পৌরসভা। এদিন সকাল থেকে বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌরসভার পূর্ত বিভাগ ও জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের কর্মীরা একজোটে পথে নেমেছেন। মোট ২৬টা দলে ভাগ হয়ে তাঁরা কাজ শুরু করেছেন।
বারাসত জেলা সদর হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলো এই শহরে অবস্থিত। সরকারি অফিস গুলোর চারপাশে রয়েছে বড় বড় কোন গাছ। ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে বিপর্যস্ত হতে পারে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিচ্ছিন্ন হতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগও। তাতে ব্যাহত হবে প্রশাসনিক কাজ। সেই আশঙ্কা থেকেই পৌরসভার পক্ষ থেকে আগাম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পৌর কর্মীদের উৎসাহিত করতে এদিন সকালে বারাসত পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় নিজের হাতে গাছ কাটতে শুরু করেন।
সুনীলবাবু জানিয়েছেন, ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলার জন্য পৌরসভায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সমস্ত পুরো কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কোথাও কোনো দুর্ঘটনার খবর এলো সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে যাবেন পৌর দফতরের কর্মীরা। সঙ্গে আমরা তৈরি রেখেছি মেডিকেল টিমকেও।
বারাসত পৌরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের প্রায় তিন লক্ষ মানুষের বসবাস। তার মধ্যে যাঁরা কাঁচা বাড়ি বা টিনের চালের বাড়িতে বসবাস করেন, তাঁদের নিকটবর্তী স্কুলঘরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পৌর প্রশাসকমন্ডলী প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের জন্য একটি করে বিশেষ নজরদারি দল তৈরি করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় তাঁরা বাসিন্দাদের খোঁজখবর রাখবেন।
No comments:
Post a Comment