চক্ষু একেবারে চরক গাছে গৃহ কর্তার।নতুন বাড়ি তৈরি করার জন্য ভিত কাটতে গিয়ে মাটির তল থেকে উদ্ধার হলো এক এক করে ৪টি প্রাচীন আমলের কালো পাথরের স্থাপত্য ও খোদাই করা মূর্তি। সোমবার মুর্শিদাবাদের জিয়ৎকুন্ডু এলাকায় এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়।এই মুহূর্তে মূর্তিটি বাড়ির মালিক লোহারাম সিংহের উঠানে রাখা রয়েছে । ঘটনার পরই কৌতুহলী মানুষজন থেকেে শুরু করে আশেপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। মূর্তিটি উদ্ধারের পর তাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সকলে ফুল বেলপাতা দিয়ে পূজা আর্চনা শুরু করে দেন ওই দেবী মূর্তি কে ঘিরে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, একসময় শশাঙ্কের রাজধানী ছিলো এই মুর্শিদাবাদের কর্ণসুবর্ণ।
ফলতো তো সেই সময়ের কোন স্থাপত্য হতে পারে।যদিও এই নিয়ে এখনো জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের কেউ সঠিক করে কিছু জানাতে পারেননি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জিয়ৎকুন্ডু গ্রামের বাসিন্দা লোহারাম সিংহ।বছর কয়েক আগে গঙ্গা ভাঙ্গন তলিয়ে যায় তার বাড়ি।পরে তিনি স্থানীয় এলাকায় জিয়ৎকুন্ডু গ্রামে কয়েক কাঠা জায়গা কিনেন নতুন করে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য। আর সেই মতো লোহারামবাবু মিস্ত্রি লাগিয়ে অনেকদিন ধরে বাড়ি নির্মাণের জন্য ভিত কাটছিলেন।এমন সময় এদিন কোদালের ডগায় বিকট আওয়াজ হতেই মাটি খোঁড়ার কাজ থামিয়ে দেয় শ্রমিকেরা।
তারপরেই আশেপাশের বেশ কিছুটা অংশগ্রহণ মাটি খুঁড়ে ফেলতেই উঠে আসে এক এক করে ঐ ৪ কালো রংয়ের ৩-৪ফুট উচ্চতার পাথরের টুকরো ও বিষ্ণুমূর্তি বলেই স্থানীয়রা জানান। এরপরই হতভম্ব হয়ে গৃহ নির্মাণের কাজ স্থগিত করে দেন বাড়ির মালিক। করি করি খবর দেওয়া হয় স্থানীয় প্রশাসনকে। মূর্তিটিকে তুলে লোহারামের প্রতিবেশী হরিপদ দাসের তুলসি তলায় রাখা হয়েছে। সেখানেই তেল সিঁদুর মাখিয়ে পুরোহিত ডেকে পুজো করছেন গ্রামবাসীরা। মূর্তিটিকে দেখতে এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন মানুষ। লোহা রাম বাবু জানান, প্রশাসন যদি মূর্তিটি না নিয়ে যায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সেটা তাদের ব্যাপার। তবে যদি নাও নিয়ে যান তাহলে এই তুলসী বেদীর তলায় ঐ মূর্তিগুলি রেখে তাঁরা রেখে পুজো করবেন"। এ দিনের শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, জেলা পুরাতত্ত্ব বিভাগ এর পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টি রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কর্তাদের জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে তারা যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন সেই ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment