বাড়িতে রহস্যজনকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই শিশু সহ নিহত একই পরিবারের ৫জন। শনিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ব্লকের ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিসমত মালডুমা গ্রামের ঘটনা। মৃতদের মধ্যে একজন ৪ বছরের ও একজন ৭ বছরের শিশু কন্যা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম রামচন্দ্র ভৌমিক(৪০), শঙ্করী ভৌমিক(৩২), রাণী ভৌমিক(১২), করুনা ভৌমিক(৭), সরস্বতী ভৌমিক(৪)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ওই পরিবার।
সেখান থেকে ফিরে এসে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে নিজের শরীরে এবং স্ত্রী ও মেয়েদের শরীরে কিছু একটা ছিটিয়ে তারপর আগুন ধরিয়ে দেয় পরিবারের কর্তা রামচন্দ্র ভৌমিক। এক সময় ভ্যান চালক রামচন্দ্র ভৌমিক কর্মহীন হয়ে আর্থিক অনটনের মধ্যে ছিলেন, তার পাশাপাশি বিপুল টাকা ধার নিয়েছিলেন বলেও দাবী করেছেন কেউ কেউ। হয়ত এই আর্থিক টানাপোড়েনের কারনেই সে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে এমনটা অনুমান করছেন অনেকে। শনিবার সকালে রামচন্দ্র ভৌমিক সহ তার স্ত্রী ও দুই মেয়েদের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
তবে ভোররাতে ঘটনার পরেই ১২ বছরের মেয়েকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হেমতাবাদের বিডিও লক্ষীকান্ত রায়। এদিকে রামচন্দ্র ও তার স্ত্রীয়ের কোনো দাম্পত্য কলহ বা কন্যাদের সঙ্গেও সংসারে কোনো অশান্তি ছিলনা বলেই প্রতিবেশীদের দাবী। আর তাতে কেন এই ঘটনা তা নিয়ে কৌতুহল ও রহস্য রয়েছে। এদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে আসেন হেমতাবাদের বিডিও লক্ষ্মীকান্ত রায় সহ থানার পুলিশ এবং বিএসএফ। পুলিশ প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তেও ওই পরিবারের কর্তা নিজেই আগুন দিয়েছেন বলে তথ্য উঠে আসছে বলে সূত্রের খবর।
No comments:
Post a Comment