নদীয়ার ফুলিয়া টাউনশিপের অন্তর্গত সবুজ পল্লীর বাসিন্দা গৌরাঙ্গ বিশ্বাসে পেশায় মোটর গাড়ির চালক। রানাঘাট হিজুলি দাস পাড়া নিবাসী গৌতম দাসের গাড়ি চালান। কাঁচামাল নিয়ে ব্যান্ডেলে পৌঁছাতে দেরি হয় চার ঘন্টা! আর তাতেই তাঁর গোঁসা, ক্ষতিপূরণ বাবদ 2000 টাকা নিতে গতকাল সকালে, গৌরাঙ্গ বাবুর বাড়িতে আসেন তিনি।
তার 11 বছরের ছেলেকে, খেলার ছলে মা এবং অন্য পরিবারের সদস্যদের সামনে বাবাকে খোঁজার জন্য নিয়ে যান তিনি। এরপর বিকালে চালকের মোবাইল ফোনে ফোন করেন তিনি, ফোন ধরেন চালকের স্ত্রী। মালিকের সোজা কথা, ছেলেকে আটকানো আছে হিসাব করে টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে। গৌরাঙ্গ বাবু , মোবাইল নিয়ে আবেদনের কারণে রাত্রি দশটায় এসে জানতে পারে ঘটনা। আজ শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে, সেখান থেকে মালিকের নাম্বারে ফোন করে মধ্যস্থতা করে, তাদের আশ্বস্ত করে মালিক তার ছেলেকে ফেরত দিয়ে আসবে কিছুক্ষণের মধ্যে।
এরপর কেটে যায় আরো 10 ঘন্টা। সন্ধ্যায় শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিতে পারলেও, কেস ডায়েরি নাম্বার পাননি। শান্তিপুর থানার ওসি তৎপরতার সাথে রানাঘাট তালা থানার সাথে কথা বলে শিশুটিকে উদ্ধার করে। বাচ্চা ফেরত পেলেও, 24 ঘন্টা ধরে আটকে রাখা এবং মুক্তিপণ দাবি করা মালিকের শাস্তি কি হবে! এ ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা পাননি, এমনকি আইনি সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
No comments:
Post a Comment