নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ১৫ মার্চ :-উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলা থেকে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এখানে এক প্রেমিক তার প্রেমিকাকে হত্যা করে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর অবস্থায় কমিউনিটি সেন্টারে ভর্তি করান। এখান থেকে তাকে ঝাঁসি রেফার করা হয়েছিল। বর্তমানে পুলিশ লাশ দুটি ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।
এই মামলাটি মাঝগাওয়ান থানাধীন এলাকার ইটৌড়া গ্রামের। ঘনশ্যাম জোশির মেয়ে জ্যোতির দেবেন্দ্রর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারটিও তিন বছর আগে উভয়কেই বাগদান করেছিল, এর পরে দু'জনেই প্রায়শই দেখা করত। প্রায়দিনের মতো বুধবারও দেবেন্দ্র তাঁর বাগদত্তের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। দুজনে গ্রামের খামারে দেখা করতে এসেছিলেন। আলোচনার সময় দুজনের মধ্যে মতবিরোধ হ
য়। এই বিতর্ক এতটাই বেড়ে যায় যে দেবেন্দ্র ছুরিটা বের করে জ্যোতিকে আক্রমণ করেছিলেন।
জ্যোতিকে হত্যার পরে দেবেন্দ্র তার ওড়না দিয়ে নিজেকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। জ্যোতির বন্ধু এই সব দেখে চিৎকার করেন। আওয়াজ শুনে লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহত জ্যোতিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। জ্যোতিকে চিকিৎসার জন্য সিএসসি রথে ভর্তি করা হয়েছে। জ্যোতির সঙ্কটজনক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ঝাঁসি রেফার করা হয়েছিল। পুলিশ দেবেন্দ্রর মরদেহ নিয়ে পোস্টমর্টেমের জন্য প্রেরণ করেছে। পুলিশ বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে।
No comments:
Post a Comment